নূর নিউজ: বিশিষ্ট ব্যাংকার ও দোহা এরাবিয়ান এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপক নূরুল কবির চৌধুরী বলেছেন, জাতীর বিবেক ও পরম শ্রদ্ধেয় উলামা মাশাইখদের মানহানি ও তাদের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।। জাতীয় সংহতির স্বার্থেই এ ধৃষ্টতার লাগাম টেনে ধরতে হবে। বাংলাদেশের বিজয় দিবস ও কাতারের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাতার আল নূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি প্রবাসীদেরকে বৈধ পন্থায় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণের উদাত্ত আহবান জানান।
গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দোহা জাদিদ নিউ জামান রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আল নূর শিক্ষা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন আল নূর সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর। আল নূর অর্থ সম্পাদক সালেহ নূরুন্নবীর উপস্থাপনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনআরবিবি এ প্রেসিডেন্ট শাহজাহান সাজু ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আলিমুদ্দিন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শফিকুল ইসলাম প্রধান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু স্মৃতি পরিষদ সেক্রেটারি মাইনুদ্দীন চৌধুরী ও আল নূর নির্বাহী সদস্য সাদ আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা ক্বারী ইব্রাহিম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দাবির আকোন,গিয়াসউদ্দিন আকোন ও শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
মাওলানা ইউসুফ নূর কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে প্রবাসী নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের উপর আলোকপাত করে বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারা খোদার বড় নেয়ামত। তবে স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষা করা আরো কঠিন। অবিচার প্রতিরোধ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য মজবুত না করলে স্বাধীনতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিনি অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধী আখ্যায়িত করে বলেন, এদের লোভের কারণে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী শ্রমিকের জীবনে নেমে এসেছে অমানিশার ঘনঘটা। এই দুরাচারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে প্রবাসীদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
বক্তাগণ প্রবাসীদেরকে কাতারের আইন কানুনের প্রতি সর্বোচ্চ যত্নবান থেকে দেশের স্বার্থে এক ও নেক হয়ে কাজ করার আহবান জানান।