আসরের পরে ঘুমানো যাবে?

ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে, মনে প্রশান্তি আনে এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে। সারা দিনের ক্লান্তি-শ্রান্তিতে বিপর্যস্ত হয়ে রাতে ঘুমানোর মাধ্যমে আবার উদ্যমতা ফিরে আসে। ঘুম থেকে জেগে নবোদ্যমে নতুন দিন শুরু করা যায়।

মহান আল্লাহ বান্দার আরাম ও শান্তির জন্য ঘুমের নেয়ামত দান করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম, করেছি রাতকে আবরণ।’-(সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১০)

ঘুম থেকে জেগে ফজরের নামাজের মাধ্যমে দিন শুরু হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) সকালকে এই উম্মতের জন্য বরকতময় করার দোয়া করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উন্মাতের ভোরবেলাতে তাদেরকে বরকত ও প্রাচুর্য দান করুন।’-(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১২১২)

রাতের ঘুম ছাড়াও দুপুরে খাবারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার কথা রয়েছে হাদিসে। এই ঘুমকে হাদিসের ভাষায় কাইলুলা বলা হয়। নবীজি (সা.) নিজেও দুপুর বেলা কাইলুলা করতেন।

রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা দুপুরে বিশ্রাম নাও। কেননা শয়তান দুপুরে বিশ্রাম নেয় না। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহিহাহ, হাদিস : ১৬৪৭; সহিহুল জামে, হাদিস : ৪৪৩১)

বিকেল বেলা আসরের পর ক্লান্ত থাকলে অথবা বিশ্রাম বা ঘুমের প্রয়োজন হলে ঘুমানো নিষেধ নয়। সালফে সালেহীনের মধ্য থেকে কেউ কেউ বিনা প্রয়োজনে আসরের পর ঘুমনোকে মাকরুহ মনে করতেন। যেমন, ইমাম আহমাদ রহ. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

‏ يُكْرَهُ أَنْ يَنَامَ بَعْدَ الْعَصْرِ يُخَافُ عَلَى عَقْلِهِ

আসরের পর ঘুমনো মাকরুহ, এতে বুদ্ধি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা আছে। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৮/১৩৬, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা)
এ মর্মে একটি দুর্বল হাদিসও পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

مَنْ نَامَ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَاخْتُلِسَ عَقْلُهُ، فلا يَلُومَنَّ إِلَّا نَفْسَهُ

যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বুদ্ধি কমে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা ৪৮৯৭)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ রহ. এর জীবন ও কর্ম

আলাউদ্দিন

আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা

নূর নিউজ

লন্ডনে মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

নূর নিউজ