ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি রুশ সৈন্য মোতায়েন নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুদ্ধের আশঙ্কায় ইউক্রেনে বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে কেউ দেশে ফিরতে চাইলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেন ইস্যুতে গণমাধ্যমকে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা জানান, ‘পোল্যান্ড সরকার ব্রিফিং করে ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেবে বলে জানিয়েছে। তারা ১৫ দিনের জন্য শেনজেন ভিসা দেবে। ব্রিফিংয়ের পর পরই ইউক্রেন ত্যাগে আগ্রহী বাংলাদেশিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে বলেছি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশিদের কেউ যদি ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে চায় যেতে পারে। যারা থাকতে চান তাদের পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিয়েছি’।
পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক জরুরি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে বসবাসরত সম্মানিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হলো। অন্য কোনো দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে যেতে পারেন। ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে’।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ‘একই সঙ্গে সব বাংলাদেশিকে অত্যাবশ্যকীয় না হলে ইউক্রেনে সব প্রকার ভ্রমণ পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো’।
এতে আরও বলা হয়, ‘ইউক্রেনে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ রইল, যাতে জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে’।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।