ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতোমধ্যে দেশটির কিয়েভসহ বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে হামলার আশঙ্কায় বুধবার রাতেই ইউক্রেনে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল ইউক্রেনের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে।
নতুন বিল অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা চলাকালে নিরাপত্তাবাহিনী যেকোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কাগজপত্র পরীক্ষা করতে পারবে। এ ছাড়া প্রয়োজন হলে সরকার কারফিউ জারি করতে পারবে। সংকটকালে ইউক্রেন সরকার ডিজিটাল ও রেডিও যোগাযোগ পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করে নেওয়া দু’টি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে এ নির্দেশ কার্যকর হবে না।
এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সৈন্য এবং হাজার হাজার যুদ্ধযান জমা করেছে। অন্য দেশের ভূখণ্ডে এই পদক্ষেপ ইউরোপ মহাদেশে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুতিন এর কোনো জবাব দেননি। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ শান্তি চায়।
ইউক্রেনের এই নেতা আরও বলেন, যদি তারা (রাশিয়া) আক্রমণ করে, যদি তারা আমাদের স্বাধীনতা, শিশুদের জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আমরা নিজেদের রক্ষা করব। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি