ইউটিউব থেকে উপার্জন: ইসলাম কী বলে?

জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্থ উপার্জনের বহু পদ্ধতি আদিকাল থেকে মানুষ আবিষ্কার করে এসেছে। জমানার অগ্রগতির পাশাপাশি উপার্জনের সিস্টেমেও এসেছে উত্তরোত্তর উন্নতি। আর পদ্ধতিটা যদি এমন হয় যে ,অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি সেলিব্রিটি হওয়াও হাতের নাগালে, তাহলে কে না চায় তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে? কিন্তু মুসলিম মাত্রই তার প্রতিটি কাজে এটা ভেবে দেখা উচিত- আমার উপার্জন হালাল হচ্ছে কিনা?

বর্তমান সময়ে এ ধরনের ইনকাম সোর্সের অন্যতম হলো গুগল এডসেন্স তথা ইউটিউব, টিকটক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান ভিডিও কনটেন্ট আপলোড দিয়ে টাকা উপার্জন কর। আজকাল উঠতি বয়সী তরুণ তরুণীরা এ পথে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত সেলিব্রিটিজমের ধান্দায় নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। দৈনিক পত্রিকা গুলো খুললেই যার নজির ঢের পাওয়া যায়। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জানতে হবে এসব ইনকামের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

নিম্নে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হলো-ইউটিউব ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন চালু করা। যার ফলে গুগল কোম্পানি তাদের মন মতো বিজ্ঞাপন ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করে থাকে। এসব বিজ্ঞাপন এর ক্ষেত্রে কিছু ক্যাটাগরি চ্যানেলদারি ব্যক্তির জন্য লক করে দেয়ার সুযোগ থাকলেও সেটা খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমন অনেক এড চলে আসে, যা শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আপত্তিকর।

কেননা, গুগল বা ইউটিউব যে বিজ্ঞাপন গুলো দিয়ে থাকে এর অধিকাংশ গুলোতেই নারীদের ছবি ও গান বাজনা থাকে তাই এসব বিজ্ঞাপন প্রচারে সহযোগিতা করে অর্থ উপার্জন করা বৈধ নয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন -তোমরা পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করিও না।-সূরা মায়েদা, আয়াত নং ২

প্রকাশ থাকে যে, বৈধ পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন যদি শরীয়ত সম্মত লেখা আকারে প্রদর্শিত হয় বা নিষিদ্ধ ছবি তথা বেপর্দা নারীর ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবি সম্বলিত হয়, তাহলে এসব বিজ্ঞাপনে সম্পৃক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করা বৈধ।

তথ্যসূত্র: ফিকহুন নাওয়াযেল ৪/২৮৪, ফতোয়া দারল উলূম করাচি, ফতোয়া নং ১৪৫, ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নং ১৫৯৫৪৯, তাফসিরে ইবনে কাসীর ৩/১০, ফতোয়ায়ে জামেয়া ফারুকিয়্যা করাচি,

এ জাতীয় আরো সংবাদ

হজ্বে যাওয়ার পূর্বে যা নিতে ভুলবেন না

নূর নিউজ

আসরের পরে ঘুমানো যাবে?

নূর নিউজ

স্বাগত, হে মাহে রমজান

আনসারুল হক