গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আছর শতাধিক যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল এ বিয়ে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মাওলানা জহির ইবনে মুসলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ময়দানের পশ্চিম-উত্তর দিকে দোয়া মঞ্চ থেকে এ বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা মো. জোহায়রুল হাসান।
হজরত ফাতেমা (রা.) ও হজরত আলী (রা.) বিয়ের দেনমোহর অনুসারে বিনা যৌতুকে মোহরে ফাতেমি প্রদানের মাধ্যমে শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগে বাদ আসর হাফেজ মাওলানা জোবায়ের বিয়ের খুতবা প্রদান করেন।
বয়ান শেষে বর-কনের অভিভাবকদের সম্মতিতে বরের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খুরমা খেজুর বিতরণ করা হয়।
জহির ইবনে মুসলিম বলেন, কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর এবার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন গণবিয়ে। বর এবং কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে শতাধিক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে খেজুর বিতরণ করা হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। সকালের বয়ানে বলা হয় পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ইমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না। দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। খুলুসিয়াত ও আজমতের সঙ্গে যারা মেহনত করবে, তাদের যে কোনো আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।