ইজরায়েলের গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসলামী ঐক্যজোটের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের বর্বর গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাদ যোহর লালবাগ শাহী মসজিদের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। লালবাগ চৌরাস্তা, ইবনে সিনা, ঢাকেশ্বরী রোড প্রদক্ষিণ করে আজিমপুর গোরে-শহীদ মাজারের সামনে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

জোটের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদ।

বক্তব্যে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় অতর্কিত বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে শত শত মুসলমান ভাই-বোনকে হত্যা করেছে দখলদার ইজরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে দলমত নির্বিশেষে মুসলিম উম্মাহকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইজরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব মানবতাই আজ ইজরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবৈধ দখলদার ইজরায়েল স্বাধীন ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করে আসছে৷ তারা শুধু যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পুরো গাজা উপত্যকা দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা মনে করি, অবরুদ্ধ ও নিরীহ গাজাবাসীর ওপর হামলার মধ্য দিয়ে ইজরায়েল বিশ্ববাসীকে জায়নবাদী পলিটিক্স বাস্তবায়নের বার্তা দিয়েছে। এটা বিশ্বমানবতার ওপর আঘাত। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই ন্যাক্কারজনক এই হামলা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমান ইজরায়েলের বিরুদ্ধে বদরের চেতনায় গর্জে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ভারতে বিজেপি শাসনামলে মুসলমানদের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। সম্প্রতি হিন্দুদের হোলিকে কেন্দ্র করে এক হাজার মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর পাঁয়তারা চলছে। সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে ভারতের এই আচরণ কলঙ্কজনক। ভারতকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।

ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম বলেন, ইজরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তারা মানবাধিকারের কথা বলে শুধু মুখে ফেনা তোলেন অথচ কার্যক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই।

তিনি অবিলম্বে ওআইসিসহ বিশ্বের মুসলিম নেতাদের যুদ্ধ বন্ধে সামরিক পদক্ষেপসহ ইজরায়েলের সাথে যাবতীয় কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা রিয়াজত উল্লাহ, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা ক্বারী নাসির উদ্দীন, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফরহাদ, ইসলামী ছাত্র ফোরামের সভাপতি জুবায়ের বিন মুহসিন প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কত লক্ষ টাকা পুরস্কার পেল সালেহ আহমদ তাকরীম?

নূর নিউজ

পেগাসাস কাণ্ডের পরও ভারত-ইসরাইল মধুর সম্পর্ক অব্যাহত

নূর নিউজ

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে কাতারে সরকারিভাবে ঈদুল আজহা উৎসবানুষ্ঠান সম্পন্ন

নূর নিউজ