ইসরাঈলের আগ্রাসী থাবা থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নূর নিউজ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার ইসরাঈলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ সোমবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, পাশ্চাত্যের উলঙ্গ সহযোগিতায় মাসের পর মাস গাজা ও রাফায় সন্ত্রাসবাদী ইসরাঈল অসহায় মজলুম ফিলিস্তিনিদের উপর নারকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে। পঁয়ত্রিশ হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের তারা শহীদ করেছে। আশি হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো ইসরাঈলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ধিক্কার জানাই কথিত মানবতার ধ্বজাধারীদের এমন বৈষম্যমূলক আচরণের। মূলত তাদের অস্ত্র সরবরাহ ও নিঃশর্ত সমর্থনের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে আজ অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি সরকার প্রণীত জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসের সমালোচনা করে বলেন, একটি পক্ষ শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। অবিলম্বে এ খেলা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করে একজন ধর্মভীরু ও গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। বির্তকিত সিলেবাস বাতিল করে সংশোধিত সিলেবাস বহাল করতে হবে। অন্যথায় এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাঈলের গণহত্যার চিত্র দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মুসলমান ভাইবোনদের রক্ত ঝরছে। তাদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। হাসপাতাল, মসজিদ-মাদরাসা, বিদ্যালয়, কলেজ কোনকিছুই হানাদার ইসরাঈলি দস্যুদের বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এই অবস্থায় মুফতী আমিনী রহ.-এর রুহানী সন্তানেরা নিরব বসে থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সাইনবোর্ড। বিবৃতি দেয়া ছাড়া তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। এই নতজানু জাতিসংঘ দিয়ে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ হবে না। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে এবং ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে এই অবৈধ রাষ্ট্রের সাথে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছিন্ন ও ওদের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে।

মুফতী ফয়জুল্লাহ বাংলাদেশের বিতর্কিত পাঠ্যক্রমে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, অবিলম্বে বিতর্কিত পাঠ্য সিলেবাস নিষিদ্ধ করতে হবে। তা নাহলে ইসলামী ঐক্যজোট আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করবে ইনশাল্লাহ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতী আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মুফতী জিয়াউল হক মজুমদার, মুফতী সাইফুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা আশরাফ আলী জিহাদী, মাওলানা মির্জা ইয়াসিন আরাফাত, যুব নেতা এএম জহিরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বিএনপি নেতারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে: কাদের

নূর নিউজ

চলমান ‘লকডাউন’ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ছে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আনসারুল হক

আগে স্বাধীন ফিলিস্তিন, তারপর ইসরায়েলের স্বীকৃতি

নূর নিউজ