বিভ্রান্তিকর ইতিহাস ও বিতর্কিত নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে ইসলামপন্থীদের দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
দলটির নেতারা বলছেন, ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে সমকামিতাকেও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষাক্রম বাতিল করতে হবে। ইসলামপন্থীদের দিয়ে নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে হবে। এর আগ পর্যন্ত গত বছরের বই দিয়ে শিক্ষাক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বাদ জুমা এক বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন তারা। সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে এবং ভুল, বিভ্রান্তিকর ইতিহাস সম্বলিত বিতর্কিত নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে খেলাফত মজলিস।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি যেন ইসলামবিদ্বেষী এই শিক্ষাক্রম বাতিল করেন। কারণ এর মাধ্যমে আমাদের শিশুদের ধীরে ধীরে ইসলাম বিদ্বেষী করে তোলা হচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে বাচ্চাদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে থেকে এই শিক্ষাক্রম বাতিল করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে ইসলামপন্থী লোক থাকতে হবে। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক নতুন বই লিখিত হবে। তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে। এটা আমাদের ঈমানের ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষাক্রম যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা চাইছে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাক।
৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করে কাদের বলেন, সেখানে সমকামিতার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইসলামের ফরজ বিধান পর্দার বিরুদ্ধে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এসব করা হয়েছে ধীরে-ধীরে শিশুদের নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই শিক্ষাক্রম দিয়ে শিশুদের সুনাগরিক ও ধার্মিক করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, বাঙালির প্রথম মুসলমান শাসক ইখতিয়ার বিন মোহাম্মদ বখতিয়ারকে জালেম বলা হয়েছে। তিনি নাকি মানুষকে হত্যা করেছিলো। এসবের মাধ্যমে শিশুদের মনে মুসলমানদের প্রতি খটকা তৈরি করা হচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমি প্রমুখ।
এদিকে আজ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো আজও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।