নূর নিউজ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে জেলার মধ্যে বাস চলবে। তবে বন্ধ থাকবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন। এছাড়া আগের মতো ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে।
আগের মতোই লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এছাড়া মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
এর আগে ৪ মে ‘ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না’ এমন বিধান যুক্ত করে সাধারণ ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ঈদের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিল্প-কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল বলেন, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটি তিন দিনই থাকবে এবার। আমাদের প্ল্যান ছিল একদিন ছুটি দেওয়ার। ঈদের ছুটির দুই দিন শুক্র ও শনিবারই মনে হচ্ছে যাবে। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চসংক্রমণশীল এলাকা। ৮০ শতাংশ সংক্রমণই হয় ঢাকায়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশেপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সে জন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক। সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া আছে, ছুটি তিন দিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না।
ফরহাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকাড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন মুভ করলে এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।