দীর্ঘ দুই বছর পর লকডাউনের বাধাহীন ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন দেশবাসী। দীর্ঘ দুই বছর পর ভারতও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে গত দুই বছর ছিল নানারকম বিধিনিষেধ। বাংলাদেশিদের অনেকেই মূলত কলকাতায় চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু কারোনাকালে ভারতে যাওয়ার ভিসাও বন্ধ ছিল। এখন সমস্ত বিধিনিষেধ উঠে গেছে। বিমানের মতই সড়কপথেও এখন ভারতে যেতে পারছেন বাংলাদেশিরা। তাই এবার বাংলাদেশেল অনেকেই ঈদের ছুটি ভারতে কাটাতে চাইছেন বলে ‘এই সময়’ ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
‘এই সময়’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা, ঈদের ছুটিতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ভারতে বেড়াতে আসবেন। বাংলাদেশিদের ভারতের যাওয়ার কারণ হিসেবে সহজে ভিসা প্রাপ্তি যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে কম সময় আর অল্প খরচ বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ভিসা আবেদনকারীদের চাপ বেড়েছে বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলোতে। অনেকেই রাত থেকে লাইন দিচ্ছেন ভিসার আবেদন করতে। এই চাপ সামলাতে লোকবল ও অফিসের সময় বাড়িয়েছে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র। বন্ধের দিনেও কাজ চলছে ওই আবেদন কেন্দ্রগুলোতে।
এই সময় জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন প্রায় ২২ লাখ পর্যটক। মূলত কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসা পেতে, ঘুরতে ও কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশিরা আসেন ভারতে।
এদিকে, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফ্লাইটের ভাড়া বেড়েছে বলে এই সময় জানিয়েছে। সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে হোটেলর ভাড়াও। সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানিয়েছেন, মাস দুই আগেও যে রুমের ভাড়া ছিল ১২০০ রুপি তা এখন হয়েছে চার হাজার রুপি।
এই সময় বাংলাদেশ আউট বাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট গোলাম কাদিরের বরাত দিয়ে জানায়, গত দুবছর মানুষ বেড়াতে পারেননি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। অনেকেই কম খরচে আশপাশের দেশে ঘুরতে যাবেন। আমাদের দেশের মানুষের জন্য প্রথম পছন্দ ভারত। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বলা যায় ঈদের ছুটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ভারতে যেতে পারেন।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের রিজিওনাল পরিচালক (পূর্ব) সাগ্নিক চৌধুরী বলেন, যেকোনো ছুটিতে বাংলাদেশিরা ভারতে বেড়াতে আসেন। এবার ঈদের ছুটিতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিরা আসবেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় কাজ করছি।