উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অপর সহোদর সাহদাত হোসেনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ।
সোমবার (০৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্ত্বরের এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাদের মির্জার ভাগ্নে ও খিজির হায়াত গ্রুফের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধীতা করে আসছিল খিজির হায়াত খান। এ বিরোধের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহদাতের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা করে। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকনকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে। তিনি আরও দাবি করেন, এ সময় কাদের মির্জা ও সাহদাতের সন্ত্রাসী বাহিনী বাজারে অস্ত্রের মহড়া দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে তিনি উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলেন।
ওই সময় মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা তার শতাধিক সমর্থক সহ কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমাকে এমনভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোন সহযোগীতা করেননি।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার আবদুল কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নিজে ফোন ধরেননি বলে জানা যায় গণমাধ্যম থেকে। অন্য এক ব্যক্তি ফোন ধরে দাবি করে কাদের মির্জা কোন হামলা করেনি।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।