উপসাগরীয় দেশগুলো নিয়ে কেমন হবে চার্লসের দৃষ্টিভঙ্গি?

প্রথা অনুযায়ী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রাজতন্ত্রের প্রধান হবেন রাজা চার্লস তৃতীয়। সাংবিধানিকভাবে রাজনৈতিক ইস্যু থেকে দূরে থাকে রাজ পরিবার।

তবে চার্লস এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কারণ কয়েক দশক ধরে উপসাগরীয় দেশগুলোর শাসক পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন তিনি।

এখন যেহেতু তিনি যুক্তরাজ্যের রাজা হতে যাচ্ছেন, তাই উপসাগরীয় সেই দেশগুলোর বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আল জাজিরা। চলুন, দেখে নেওয়া যাক—
মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে চার্লসের ভূমিকা
গত কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন চার্লস। এ কয়েক দশকে ওই দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাজ্য ১৪.৫ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ওলটপালট করে দেওয়া আরব বসন্তের পর অঞ্চলটির ৮টি রাষ্ট্রের সঙ্গে মোট ৯৫টি বৈঠক করেছেন তিনি।

২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘চার্লস অ্যাট সেভেন্টি : থটস, হোপস অ্যান্ড ড্রিমস’ শিরোনামের একটি ৩০০ পৃষ্ঠার বইয়ে লেখা হয়—চার্লস যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের বলেছিলেন, তিনি উপসাগরীয় মিত্রদের কাছে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর পক্ষে অস্ত্র বিক্রি করতে চান না।

২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের রিয়াদে ঐতিহ্যবাহী সৌদি নৃত্যে অংশ নেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রিন্স চার্লস।
প্রথম ভাষণে যা বললেন রাজা চার্লস
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতি
রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে চার্লসই প্রথম ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিয়েছিলেন।২০২০ সালের জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীর সফর করেন তিনি। সেসময় ফিলিস্তিনি জনগণের ‘দুর্ভোগ’ এবং `কষ্ট’ দেখে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বেথেলহেম থেকে দেওয়া ভাষণের সময় চার্লস বলেছিলেন, ‘এটি আমার তীব্র ইচ্ছা যে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সমতা পাবে। এটি আপনাদের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।‘

উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
চার্লস রাজা হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা গত কয়েক দশকে চার্লসের হাত ধরে ব্রিটিশ রাজপরিবার ও উপসাগরীয় শাসক পরিবারগুলোর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

যদিও ওই দেশগুলো থেকে নগদ টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছে সেসময়ের যুবরাজ চার্লসকে।

গত বছর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি তদন্তে জানা যায়, চার্লসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাইকেল ফসেট সৌদি বিলিয়নিয়ার মাহফুজ মারেই মুবারক বিন মাহফুজকে রাজকীয় সম্মান এবং ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজে সমন্বয় করেছিলেন। তৎকালীন যুবরাজের বিশেষ আগ্রহে প্রকল্পগুলোর সংস্কারের জন্য তিনি ১.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড দান করেছিলেন।

অভিষেক হওয়ার পর সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, ইরাক ও ইরানসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন চার্লস, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।তাদের ধারণা, ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রেও চার্লস গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাইতুল্লাহ পরিস্কার করেন ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

নূর নিউজ

ওআইসি সম্মেলনে তালিবান সম্পর্কে যা বলল বাংলাদেশ

নূর নিউজ

তুর্কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ

নূর নিউজ