শীতকালে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট, বাতের ব্যথা বাড়ার মতো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা লেগেই থাকে। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা খুব জরুরি।
শীতের সময় আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখুন যা আপনাকে সুস্থ সবল রাখবে।
তুলসী
তুলসী নানা রোগ নিরাময় করতে পারে এবং অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুকনো কাশি-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করে। তুলসী পাতার চা অ্যালার্জিজনিত ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিও নিরাময় করতে পারে।
আদা
সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার চিকিৎসায় আদা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা আমাদের শরীর উষ্ণ রাখে। যে কারণে শীতকালে আদা চা পান দারুণ কার্যকর। এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফোটান। এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। গলা ব্যথার জন্য দারুণ কার্যকর এই পানীয়।
হলুদ
হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সর্দি-কাশি এবং ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং জয়েন্ট ভাল রাখে। এক কাপ জলে আদা, এক চা চামচ হলুদ এবং অর্ধেক লেবু দিয়ে পান করুন। সর্দি, কাশিতে এই পানীয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
দারুচিনি
দারুচিনিও আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ দারুচিনি যে কোনও সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিজেকে সুস্থ রাখতে দারুচিনি খেতে পারেন। এক কাপ পানিতে আদা দিয়ে ফোটান। এতে ১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
গোলমরিচ
ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে এই মশলাটি সর্দি, কাশি এবং ফ্লুর বিস্তার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রেসপিরেটরি ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এক কাপ হলুদ দুধে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দুধ না খেতে চাইলে চায়ের সঙ্গে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।