পানি সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় এক নিয়ামত। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ অন্যান্য ইবাদতের জন্য পানি ব্যবহার করতে হয়। একটা সময় মানুষ বিভিন্ন ধরনের পাত্র ব্যবহার করে ওজু করত। ফলে পানির অপচয় তেমন হতো না।
কিন্তু এখন গ্রাম, শহর-বন্দরের প্রায় সব মসজিদে ওজুর জন্য ট্যাপের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই একজন মুসল্লি ওজু করতে গিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পানি অপচয় করছেন। নবিজি (সা.) পানি অপচয় করাকে জঘন্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন।
পানির অপচয় রোধে রাসূল (সা.) প্রায় ১ লিটার বা ৭৯৬ মিলি সমপরিমাণ পানি দিয়ে ওজু করতেন বলে হাদিসে রয়েছে। যুক্তির নিরিখে কেউ কেউ ধারণা করেন, মরু অঞ্চলে পানির সংকট ছিল বলে রাসূল (সা.) অল্প পানি দিয়ে ওজু সারতেন। কিন্তু তিনি প্রবহমান নদীর পাশে বসে ওজু করলেও মাত্রাতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। একবার রাসূল (সা.) হজরত সাদ (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদ (রা.) ওজু করছিলেন। তার ওজুতে পানি বেশি ব্যয় হচ্ছিল। রাসূল (সা.) তা দেখে বললেন, কেন এই অপচয়? সাদ (রা.) আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওজুতেও কি অপচয় হয়? রাসূল (সা.) বললেন হ্যাঁ, এমনকি বহমান নদীতে ওজু করলেও। (ইবনে মাজাহ শরিফের ৪২৫)।
দেশের বিদ্যুৎ-এর এ নাজুক পরিস্থিতিতে আমাদের পানি ব্যবহারে খুবই যত্নবান হওয়া উচিত। কোনাভাবেই যেন এক ফোঁটা পানি বেশি খরচ না হয়, সেদিকে সূক্ষ্ম দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। আমি যদি বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সামান্য অবদান রাখতে পারি তাহলে দেশের কোনো ভাই বা বোন অন্ধকার দূরীকরণে বিদ্যুৎ পেতে পারে। নিঃসন্দেহে এ জন্য আল্লাহ আমাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।