একাত্তরে পাকিস্তানের গণ’হত্যা নিয়ে মার্কিন পার্লামেন্টে প্রস্তাব

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে চালানো গণহ’ত্যাকে স্বীকৃতির দাবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিভস) একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে।

শুক্রবার কংগ্রেসম্যান রো খান্না ও কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবট এ প্রস্তাব তোলেন।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহ’ত্যার স্বীকৃতি’ নামের রেজোল্যুশনটি তোলেন কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবট ও রো খান্না।

রেজোল্যুশনে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বাঙালি ও হিন্দুদের ওপর যে সহিংসতা চালিয়েছে তাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এবং যেসব অপরাধী এখনও বেঁচে আছে তাদের বিচার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয় এতে।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিলে ১৯৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সহিংসতাকে নিন্দা জানানো হয়।

এক টুইটবার্তায় রিপাবলিকান দলের সদস্য স্টিভ চ্যাবট লেখেন, ‘১৯৭১ সালের বাংলাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনা ভুলে যাওয়া যাবে না। আমার ওহাইও অঙ্গরাজ্যর সহকর্মীর সহযোগিতায় বাঙালি ও হিন্দুদের ওপর চালানো নৃশংসতা বিশেষ করে যার কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘গণহত্যার শিকার লাখো মানুষের স্মৃতিকে আমাদের মুছে যেতে দেওয়া উচিত নয়। এ গণহত্যার স্বীকৃতি ঐতিহাসিক রেকর্ডকে সমৃদ্ধি করবে, দেশবাসীকে শিক্ষিত করবে ও অপরাধীদের এই বার্তা দেবে যে এ ধরনের অপরাধ সহ্য করা হবে না।’

আরেক রিপাবলিকান রো খান্না টুইটে লেখেন, ‘১৯৭১ সালে বাঙালি গণহত্যার স্মরণে তোলা প্রথম প্রস্তাবে স্টিভ চ্যাবটের সাথে যোগ দিতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। এ প্রস্তাবে আমাদের সময়ের সবচেয়ে বিস্মৃত গণহত্যার শিকার লাখো জাতিগত বাঙালি এবং হিন্দু নিহত হয়েছেন কিংবা বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।’

রেজোল্যুশনের প্রথম অংশে ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের প্রতি বিতৃষ্ণার মনোভাব পোষণ করতো সেটির কথা বিবৃত করা হয়।

রেজোল্যুশনে বাঙালি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহিংসতাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসাবে স্বীকার করা হয়। সেইসাথে ১৯৭১ সালে যারা মারা গেছেন এবং অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশীদের বিক্ষোভ

নূর নিউজ

কঠিন সময়ে তুরস্কের পাশে যুক্তরাষ্ট

নূর নিউজ

চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি ‘চিন্তিত’? যা জানালেন বাইডেন

নূর নিউজ