কারি পাতার গুণাগুণের শেষ নেই। শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে সাহায্য করে এই উপাদান।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কারি পাতায় প্রায় ১০৮ ক্যালোরি থাকে। এতে ফাইবার, প্রোটিন, এসেনশিয়াল অয়েল, এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং অনেক ধরনের ভিটামিনের উপস্থিতির কারণে এটি খুবই স্বাস্থ্যকর পাতার ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত।
এটি ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের সুবিধা প্রদান করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ই, বি১, বি২, বি৩, বি৯। ভিটামিন সি, ই, জিঙ্ক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে কারি পাতার রস পান করুন। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সপ্তাহে এক বা দুই দিন কারি পাতার রস পান করে কোলেস্টেরল কমাতে পারেন।
কারি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই পাতার রস পান করলে শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবে আপনি অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখকে সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি একটি অপরিহার্য ভিটামিন। এটি চোখের রোগ ছানি থেকেও রক্ষা করতে পারে।
ওজন বাড়তে থাকলে কারি পাতার রস পান করতে পারেন। কারি পাতা শরীরে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। ইনফেকশন ও রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে কারি পাতা মিক্সারে দিয়ে তাতে পানি মিশিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।