এবার আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠালো আরব আমিরাত

আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিছে আরব আমিরাত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এ সহায়তা দিয়েছেন। মানবিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ১৩ টন ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কান্দাহার বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে ত্রাণবাহী বিমান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগান জনগণের সহায়তায় এ নজির স্থাপন করল আবুধাবি।

গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ইব্রাহিম বুমালহা বলেন, ত্রাণভর্তি বিমানটি আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছে দেশটির জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্ট লাঘবের জন্য।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সাত টন জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সামগ্রী এবং শিশুদের জন্য ছয় টন দুধ। বুমালহা বলেন, মানবিক সহায়তার লক্ষ্য হল বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আফগান জনগণের সঙ্কট সমাধান করা। এর আগে ইরান ও পাকিস্তানের ত্রাণবাহী বিমান কাবুলে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয় বলে সংশ্লিষ্ট দেশের গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশ করেছে।

তালেবান সরকার গঠন করলেও দেশটিতে যে মানবিক সংকট চলছে তা খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জনগণের জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য নেই দেশটিতে। বছরের পর বছর যুদ্ধাবস্থা চলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় ধস, ঘরহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, খোলা আকাশের নিচে বসবাস ইত্যাদি সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

তালেবানের পক্ষ থেকে দেশে দেশে ত্রাণ সহায়তার জন্য চিঠি দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের কাছেও চিঠি দিয়েছে তারা। জাতিসংঘ সহায়তা মিশন আফগানিস্তানে তার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। দাতা দেশগুলো বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আফগান ব্যাংকের আটকে দেওয়া অর্থ ফেরত দেয়নি। আইএমএফ আফগানিস্তানের সহায়তা ফান্ড স্থগিত করেছে। সব মিলিয়ে তালেবানের সরকার কঠিন দুর্দিনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

চলতি বছরের ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর ৮ সেপ্টেম্বর সরকার গঠন করে তালেবান। যত সহজে তারা দেশ দখল করেছে, দেশ পরিচালনা তাদের পক্ষে ততটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই বেশ কিছু ঘটনায় তালেবানের সমালোচনা করা হচ্ছে। সরকার ঘোষণা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও শপথ অনুষ্ঠিত হয়নি।

এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নারীর অধিকার খর্ব করা, বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তালেবান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অবশ্য কিছু ভালো খবরও দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। যেমন- তালেবান দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটিতে চুরি, ঘুষ ও পথে পথে চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বন্ধ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সাবেক সরকারের সময়ের চেয়ে শৃঙ্খলা ফিরেছে। তবে এই মুহূর্তে তালেবানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগান জনগণের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মেক্সিকোতে বার-হোটেলে বন্দুক হামলায় নিহত ১১

নূর নিউজ

আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চাঁদাবাজি করে!

নূর নিউজ

কাতারে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলরের বাবার জন্য আল-নূর কালচারাল সেন্টারের দোয়া মাহফিল

নূর নিউজ