ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, নৈকিতা বিবর্জিত শিক্ষা আমাদের প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এসএসসি’র মত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা-২০২৩ ইং এ করোনার অজুহাত দেখিয়ে “ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা” বাদ দেয়ার প্রস্তাবনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একদিকে বিজ্ঞানমনস্ক বানানোর নামে ৯ম-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে বিতর্কিত ‘ডারউইন তত্ত্ব’ বহাল রাখা হয়েছে অথচ নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম “ধর্মশিক্ষা” বাদ দেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে যা সচেতন জনগণ গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেখছে।
গতকাল সন্ধ্যায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ বাংলাদেশ মাধবদী থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত মাধবদী হাইস্কুল মাঠে বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে সম্মানিত অতিথির আলোচনায় নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম আলোচনা পেশ করেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে পতি বছল শত শত মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছ্রে। কাজেই ছাত্র, যুব সমাজ ও দেশের মানুষকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিখ্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের কর্ণাটকে স্কুলগুলোতে মুসলিম ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক হিজাব খুলে দেয়া হচ্ছে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, হিজাব নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করতে চাইলে বিশ্বের মুসলমানরা নীরবে বসে থাকবে না।