করোনাকালে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক কষ্টে আছেন। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থের মান কমে যাওয়ায় সংকটের মুখে আছেন তারা।
ঠিক এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশিরা। সেখানে ক্লিনারের কাজ করা প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টুডে।
জানা গেছে, দিনে ১৪ ঘণ্টা ক্লিনারের কাজ। কোনো ডেঅফ নেই। হালকা সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথায় তবেই ছুটি মেলে; যদি কোনো স্বদেশি তার কাজটা করে দেন! নভেল করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো এভাবে বাংলাদেশিদের দিয়ে কাজ করালেও ওভারটাইমের জন্য বাড়তি অর্থ দিচ্ছে না!
টুডের প্রতিবেদনে ১০ জন সংরক্ষণ-কর্মীর কথা বলা হয়েছে, যারা সবাই বাংলাদেশি ওয়ার্কপারমিট নিয়ে দেশটিতে আছেন।
ওই কর্মীরা হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে (এইচডিবি) এভাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশিদের অভিযোগ, ডিউটির সময় বাড়লেও আগের মতোই পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে তাদের।
দশজনের সাতজন একবার ওভারটাইমের জন্য কিছু অর্থ পেয়েছিলেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হাজার তিনেক হবে।
প্রতিবেদনে ৩২ বছর বয়সী হাওলাদার মানিকের (ছদ্মনাম) কথা বলা হয়েছে, যিনি সকাল সাড়ে পাঁচটায় কাজ শুরু করে রাত আটটা পর্যন্ত ডিউটিতে থাকেন!
গত ৩১ আগস্ট অভিবাসন অর্থনীতির মানবিক সংস্থা থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে যে ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়, তাদের সবাইও বাংলাদেশি। এই এস্টেট ক্লিনাররা দিনে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা করেও কাজ
করেন!