কনকনে শীতে চার বিভাগে বৃষ্টি, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

মাঘের হাঁড় কাঁপানো কনকনে শীতের মধ্যে বৃষ্টি নেমেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলেগুলোর উপর দিয়ে প্রবেশ করে বিস্তার লাভ করেছে বৃস্টি।

খুলনা,বরিশাল,ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টিপাগের ফলে তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেয়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বেশী বৃস্টিপাত হয়েছে খুলনা বিভাগের যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদসহ পশ্চিমাঞ্চলে। যশোরে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় টানা আড়াই ঘন্টা বৃষ্টিতে ক্ষেত-খামার পানিতে তলিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণের কিছু এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতও হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, ফরিদপুর, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে শীত জেঁকে বসেছে। দেশের দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, পঞ্চগড়সহ দশ জেলায় শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দিনাজপুরে তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজধানী ঢাকায় গতকাল তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশা কিছুটা কেটে যাওয়ায় দুপুরে ক্ষানিকটা সময় রাজধানীর আকাশে রোদের ঝিলিক দেখা যায়।

কুয়াশা এবং হাড় হিম করা ঠান্ডার মধ্যে বৃস্টিপাতে জনপদগুলোতে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বৈরী আবহাওয়ায় কোথাও কোথাও জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের প্রকোপে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবার কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে তীব্র শীতে বৃষ্টিতে ভিজে শিশু শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে আসার পর বহু স্থানে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন,বৃস্টিতে কুয়াশা কেটে গিয়ে আজ সূর্যের আলোর উত্তাপ পাবে ভূ-ভাগ। তাতে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতে নেমে যাবে পারদ। এরপর আবারো নতুন করে বিহার রাজ্যের ওপর দেশে প্রবেশ করবে ভারি কুয়াশা। তা ক্রমে বিস্তার লাভ করবে সারাদেশে। এতে শীতের মাত্রা এখনি কমবে না। বাড়বে ঠান্ডার প্রকোপ।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশের চার বিভাগে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে বেশী। বৃষ্টির কারণে কুয়াশা কেটে গিয়ে হয়ত সূর্য দেখা যেতে পারে। তবে আজ শুক্রবার থেকে সারা দেশেই তাপমাত্রা কমে যেয়ে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। মূলত এই মাসজুড়েই শীত বিরাজ করবে। সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূইয়া বলেন, আগামী দুই দিন খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি বাড়তে পারে।পুরো জানুয়ারি জুড়েই থাকবে শীতের তীব্রতা। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ কিছুটা মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুড়ে দেখা দেয় সূর্যালোক। তবে, তাতে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। এরমধ্যে সন্ধ্যার পর হয়েছে গুঁড়ি বৃষ্টি। তবে, আজ শুক্রবারও ঢাকায় ফের বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

গাজীপুরে বসতবাড়িতে আগুন, চারজনের মৃত্যু

আলাউদ্দিন

দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক ইসলামী আন্দোলনের

নূর নিউজ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এরদোগানকে চরমোনাই পীরের শুভেচ্ছা

নূর নিউজ