প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং বেশ কিছু ভিটামিনে ভরপুর ডিম হলো অন্যতম পুষ্টিকর খাবার, যার অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু কাঁচা বা ঠিকমতো রান্না না করে ডিম খেলে শরীর অসুস্থ হতে পারে।
কারণ ডিম সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে, যা খাদ্যজনিত অসুস্থতার একটি সাধারণ কারণ। সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, যাকে সালমোনেলোসিস বলা হয়। এর কারণে ডায়রিয়া, জ্বর, বমি এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। যদি ব্যাকটেরিয়া রক্তে ছড়িয়ে পড়ে তবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এটি খুব কমই ঘটে।
৫ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়াতে সংক্রমিত এবং গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-
সালমোনেলা সংক্রমণ: কাঁচা ডিম সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে, যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে এবং বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, জ্বর এবং পেটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
বায়োটিনের অভাব: কাঁচা ডিমের সাদা অংশে অ্যাভিডিন নামক একটি প্রোটিন থাকে, যা বায়োটিনের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। এটা একটি বি-ভিটামিন, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ডিমের সাদা অংশ খেলে বায়োটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যার কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুল পড়া এবং নখ ভঙ্গুরের সমস্যা হতে পারে।
হজমের সমস্যা: কাঁচা ডিম হজম করা শরীরের পক্ষে কঠিন হতে পারে, বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা বা দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে তাদের জন্য। কাঁচা ডিম খেলে পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস এবং পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
অ্যালার্জি: কিছু লোকের ডিমের প্রোটিনে অ্যালার্জি থাকে এবং কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন আমবাত, ফুলে যাওয়া এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণের ঝুঁকি কমাতে ডিম খাওয়ার আগে তা সঠিকভাবে রান্না করা উচিত।