ইসলামের দৃষ্টিতে হাসির তিনটি স্তর রয়েছে। তাহলো- এক. মৃদু বা মুচকি হাসি। এ হাসিতে দাঁতও দেখা যায় না, শব্দও হয় না। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মুচকি হাসি। তিনি সর্বদা মুচকি হাসতেন। আপন-পর, বন্ধু-শত্রু সবার সাথে তিনি উত্তম আচরণ করতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। এ হাসিই উম্মতের জন্য সুন্নত।
দুই. দিহক। যে হাসিতে দাঁত দেখা যায় কিন্তু শব্দ হয় না। এভাবে হাসা জায়েজ আছে, তবে না হাসাই উত্তম।
তিন. অট্টহাসি। এটি নির্লজ্জ ও অহংকারী লোকদের হাসি এবং এতে চেহারার আকৃতিরও পরিবর্তন ঘটে। তাই ইসলামে অট্টহাসি নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, এতে অন্তর মরে যায়। সুতরাং মুচকি হাসি ছাড়া বাকি দুই প্রকার হাসি বর্জন করা উচিত।
এই তিন প্রকার হাসির মধ্যে মুচকি হাসিকে ইসলামে ভালো কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কখনো এই হাসিতে (আওয়াজ ছাড়া) দাঁত প্রকাশ পেলেও কোনো সমস্যা নেই।
হাসি-খুশি থাকাটাই মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবের অংশ। কাউকে হাসতে দেখলে তার হাসি মুখ অমলিন রাখতে হাদিসে একটি দোয়া পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। দোয়াটি হলো-
اَضْحَكَ اللّٰهُ سِنَّكَ
উচ্চারণ : আজহাকাল্লাহু সিন্নাকা
অর্থ : আল্লাহ তায়ালা আপনাকে চির হাসিমুখ রাখুন।
এই দোয়া সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হাসতে দেখে উল্লিখিত দোয়া পাঠ করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৯৪)