কাতারে মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে গণ-সংবর্ধনা

আমিনুল হক কাজল, নিজস্ব প্রতিবেদক, কাতার

কাতারের রাজধানী দোহার বাণিজ্যিক এলাকা নাজমার রোজ বাংলা রেস্টুরেন্টের হলরুমে কাতারের আওক্বাফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশেষ মেহমান বর্ষীয়াণ আলেমে দ্বীন মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গণ-সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজন।

কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম, খতিব ও ওয়ায়েজ মাওলানা ইউসুফ নূর ও প্রকৌশলী মনিরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী শোয়াইব কাশেম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি আওক্বাফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সুলাইমান আস সুকাতারি, অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব নিয়াজ মোর্শেদ খান ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কাতার আওক্বাফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বিভিন্ন ভাষার আটজন ইসলাম প্রচারক।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। বিশেষ অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথি পরস্পরকে কাতারের ঐতিহ্যবাহী আবায়া পরিয়ে পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

সংবর্ধিত অতিথি মুফতি ইজহারুল ইসলামের জীবন ও কর্ম নিয়ে আরবিতে ও বাংলায় আলোচনা করেন যথাক্রমে হাফেজ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও হাফেজ মাওলানা আম্মার। কমিউনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাওলানা লোকমান আহমদ।

মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও আওক্বাফের মাহফিল সমন্বয়ক মাওলানা ইউসুফ নূর

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতারস্থ বাংলাদেশীদের মাঝে দ্বীনি চেতনা এবং ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের একজন প্রবীণ ইসলামী চিন্তাবিদকে দাওয়াত করে এনে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিষয় ভিত্তিক ওয়াজ মাহফিলের ব্যবস্থা করে কাতার সরকার ঈমানী ভাতৃত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে। কমিউনিটির কল্যাণে কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের যে কোন উদ্যোগে দূতাবাসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

অপরদিকে সংবর্ধিত মেহমান মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে সাদর আমন্ত্রণ ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য কাতার সরকার এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী ভাইদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি ইসলাম ও দেশের স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতায় জড়িত ছিলাম এবং এখনো আছি। বিভিন্ন সরকারের আমলে কারাবরণ করেছি। কিন্তু এরপরও বলি, আমার দেশ বাংলাদেশ । স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার অনুভূতি ও গৌরববোধ সকল বেদনা ও দুঃখ কে ভুলিয়ে দেয়। আমাদের উন্নতি, সমৃদ্ধি এবং আমাদের ভাবমূর্তি মর্যাদা ও সম্মান আমাদের এক ও নেক হওয়ার মধ্যে নিহিত। দেশের স্বার্থে সমস্ত আঞ্চলিকতা, দলীয় সংকীর্ণতা এবং সমস্ত ভেদাভেদ পরিহার না করলে আমাদের উন্নতি ও সমৃদ্ধি হবে সুদূর পরাহত। প্রবাসের মাটিতে আমরা সকলে এক ও নেক হয়ে থাকতে পারলে মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন। নতুবা আমাদের ভাবমূর্তি উন্নয়ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

বিশেষ অতিথি শাইখ মুহাম্মদ সুলাইমান আস সুকাতারী মুফতি ইজহারুল ইসলামকে সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আখ্যায়িত করে বলেন, তার জ্ঞানদীপ্ত মনীষা, কর্মমুখর জীবন ও মুল্যবান আলোচনা আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘজীবী করুন।

প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দের সাথে মুফতি ইজারুল ইসলাম চৌধুরী


এ জাতীয় আরো সংবাদ

১৪ বছর পর দেশে ফিরে কাঁদছেন প্রবাসী, হারালেন ঘরবাড়ি ও স্ত্রী

নূর নিউজ

খুলল মালয়ে‌শিয়া শ্রমবাজার, প্রথমদিন গেলো ৫৩ কর্মী

নূর নিউজ

‘অনলাইনে সৌদি প্রবাসীদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে’

নূর নিউজ