কাদিয়ানী ফেৎনার মূলোৎপাটনে দাওয়াহ ভিত্তিক কাজ করার বিকল্প নেই

আজ (২ সেপ্টম্বর ২০২৩ ইং) রোজ সোমবার, বা’দ জোহর, জামালপুর জেলার ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি মারকায জামিয়া হুসাইনিয়া মেলান্দহ মাদরাসা মিলনায়তনে জামালপুর জেলা কমিটি গঠন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ জামালপুর জেলার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জামিয়া হুসাইনিয়া মেলান্দহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শামসুদ্দীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব আল্লামা শাইখ মুহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব আল্লামা শাইখ মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, কাদিয়ানী ফেৎনার মূলোৎপাটনে দাওয়াহ ভিত্তিক কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রতিটি থানা এবং জেলায় আক্বিদায়ে খতমে নবুওয়ত এবং রদ্দে কাদিনিয়্যাত শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবী আদায়ে আমাদেরকে রাজপথে সরব ভূমিকা পালনে সদা সচেষ্ট থাকতে হতে হবে। কাদিয়ানিদের ধোঁকা ও অপতৎপরতা রুখতে আইনসেল তৈরী করে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এই সকল বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, জামালপুরের এক সরিষাবাড়ী থানায় কাদিয়ানিদের ছয়টি উপাসনালয় আছে এবং সেখানে হাজারের উপর সাধারণ মুসলমান ঈমানহারা হয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য বড়োই হতাশা ও দূর্ভাগ্যের বিষয়। এছাড়া জামালপুর সদরেও তাদের একটি উপসনালয় আছে। সেখানেও তারা নির্বিঘ্নে তাদের অপতৎপরতার মাধ্যমে ঈমান বিধ্বংসী শয়তানের রাজত্ব কায়েমের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের এ সমস্ত হীন কার্যক্রম বন্ধ করতে জামালপুরের আলেম উলামাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য খতমে নবুওয়ত রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানী দিয়ে আমাদেরকে তার হেফাজত করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার ব্যপারে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সাবেক সভাপতি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী রহ. এর দিক নির্দেশনা মূলক একটি চিঠি পাঠ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এদেশে কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবী আদায়ে প্রায় তিন যুগ ধরে কাজ করে আসছে। এই সংগঠনে দেশের প্রায় সকল শীর্ষ আকাবির উলামায়ে কেরাম কাজ করেছেন। উম্মাহ’র ঈমান রক্ষায় কাজ করা এই সংগঠন মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য আমানত। আমাদেরকে এই সংগঠনের ছায়তলে একতাবদ্ধ হয়ে খতমে নবুওয়তের ঈমান ও আক্বিদা হেফাজতে আমরণ কাজ করে যেতে হবে।

সভায় মাওলানা আব্দুল্লাহকে সভাপতি এবং মুফতী শামসুদ্দীনকে সেক্রেটারি করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জামালপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শিব্বির আহমাদ কাসেমী, সহকারী মহাসচিব মুফতী কামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশিকুল্লাহ, বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, কেফাকের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসআদুর রহমান আকন্দ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূর, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সুলতান আহমাদ, মুফতী আমানুল্লাহ কাসেমী, মুফতী মনিরুজ্জামান, মুফতী আকরামুজ্জামান, মুফতী আব্দুল হামীদ সহ স্থানীয় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতী শামসুদ্দীন কেন্দ্রীয় অতিথিবৃন্দ ও উপস্থিত উলামায়ে কেরামদের প্রতি আন্তরিক মুবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা কেন্দ্রের ঘোষিত সকল কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে ঐক্যবদ্ধভাবে খতমে নবুওয়তের কাজ করবো এবং জামালপুরের সকল থানা ও ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে জামালপুরকে কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে;শিক্ষামন্ত্রী

নূর নিউজ

জানাজায় জনসমুদ্র, চিরনিদ্রায় আল্লামা শফী

আনসারুল হক

‘নিউইয়র্ক টাইমস’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশী আলেম মুফতি ইসমাঈল

আনসারুল হক