পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলীয় ‘ব্যাট’ প্রতীকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে আলাদা আলাদা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে কারান্তরীণ ইমরান খান। কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান।
এতে ভোট দেওয়ার পর সমর্থকদের কেন্দ্রের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিজের একটি কালো পোশাক পরা ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে ইমরান খান লিখেছেন, “কারাগার থেকে ইমরান খানের বার্তা: আমার প্রিয় পাকিস্তানিরা, আপনাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই করায় আমাকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর আমি ও পাকিস্তান আপনাদের থেকে কেবল ২৪ ঘণ্টা সময় চাই।”
তিনি আরও লেখেন, “আপনারা সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করুন। পোলিং এজেন্টের হাতে ফর্ম না পৌঁছানো পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষা করুন।”
ওই পোস্টে সমর্থকদের উদ্দেশে খান আরও বলেন, “চূড়ান্ত ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করুন।”
উল্লেখ্য, ইমরান খানের দল পিটিআই জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বলে বুধবার গুজব ছড়ায় পাকিস্তানজুড়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এক্সে এই বার্তা দেন ইমরান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমেও পিটিআই খবরটি গুজব জানিয়ে লেখে, নির্বাচনী লড়াইয়ে আছে ইমরান খানের দল।
দেশটিতে ১৮ বছরের বেশি নাগরিক অর্থাৎ ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। চলতি বছর জাতীয় পরিষদে মোট পাঁচ হাজার ১২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিটি আসনে গড়ে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা চার হাজার ৮০৬ জন পুরুষ প্রার্থী, আর নারী প্রার্থী ৩১২ জন। এই তালিকায় দুই ট্রান্সজেন্ডারও রয়েছেন।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৩৩৬টি, এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আর সংরক্ষিত রয়েছে ৭০টি আসন। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য।