কুমিল্লার নানুয়ারদীঘির পাড়ের একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দোষিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা ইয়াহইয়া বলেন, সোশ্যালয় মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে হিন্দুদের পূজামণ্ডপে মহান আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআন অবমাননার যে দৃশ্য দেখা গেছে, তা মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। পবিত্র কুরআনের এমন জঘন্য অবমাননা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আল্লামা ইয়াহইয়া বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মতো এত সুন্দর আন্ত:ধর্মীয় সামাজিক সহাবস্থান বিশ্বের কম দেশেই বিদ্যমান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের চতুর্দিক ইসলামবিদ্বেষী দ্বারা পরিবেষ্টিত। আমরা দেখছি, মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে শুধুমাত্র মুসলিম ও বাঙ্গালী পরিচিতির কারণে উৎখাত করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে। অনুরূপ আসাম থেকেও শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ের কারণে লাখ লাখ মানুষকে এই দেশে ঠেলে দিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, মুসলিমবিরোধী এসব ঘটনা থেকে বিশ্ব দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে এবং বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতিকে রুখে দিতে ইসলামবিদ্বেষী এই কুচক্রী মহল সময়ে সময়ে বাংলাদেশের বিদ্যমান সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে গোলযোগ তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আল্লামা ইয়াহইয়া কুমিল্লার ঘটনায় তৌহিদী জনতার প্রতি ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে কোনরূপ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। ইসলাম অবমাননার ঘটনায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যেকোন প্রতিবাদ কর্মসূচীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে। একই সাথে সরকারের প্রতি কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদশেরে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক সহাবস্থানকে নিরাপদ রাখতে সরকারকে ইসলাম অবমাননার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাসমূহ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শক্তহাতে বন্ধ করতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই র্ধম অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে কঠোর আইন পাশ ও তার সঠিক প্রয়োগ জরুরী।