কুরবানির প্রস্তুতি নিন

ইসলামে কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। এবং যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’ হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, ‘কুরবানির দিন কুরবানির চেয়ে উত্তম আমল আর নেই। কেয়ামতের দিন কুরবানির পশুকে শিং, পশম ও খুরসহ পেশ করা হবে এবং কুরবানির জন্তুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহতায়ালার কাছে তা কবুল হয়ে যায়। তাই তোমরা খুব আনন্দ চিত্তে কুরবানি কর।’

১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে যেসব প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, মুকিম ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে অর্থাৎ নিজের একান্ত প্রয়োজনীয় (পানাহার, বাসস্থান, উপার্জনের উপকরণ ইত্যাদি) ছাড়া অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পদ হয়, যা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ হয়, সে ব্যক্তির ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব।

এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে আসে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ, আসবাবপত্র, তৈজসপত্রও ধর্তব্য হবে। সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।

প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নিজের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব। তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব নয়। যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়, সে কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করলে সে পশু কুরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

হেঁটে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব

নূর নিউজ

শাওয়ালের ছয় রোজা যেভাবে রাখবেন

নূর নিউজ

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম আছে কি?

নূর নিউজ