আজ (১৯ মার্চ ২০২৩ ইং, সোমবার) গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে মুফতী শামসুদ্দীন কাসেমীর সভাপতিত্বে কুড়িগ্রাম জেলা কওমী ওলামা পরিষদের উদ্যোগে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদিনব্যাপী এই মহাসম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
সম্মেলনে মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ নবী। কাদিয়ানীরা নবীকে (সা.) শেষ নবী বলে মানে না বলেই তারা কাফের। যারা কাদিয়ানীদের কাফের মানবে না, তারাও কফের। আমরা এ দেশে প্রায় তিন যুগ যাবত শান্তিপূর্ণভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি।
কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী আরো বলেন, কাদিয়ানীদের সঙ্গে কোনো মুসলমান আত্মীয়তাও করবেন না। কাদিয়ানিদেরকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। কাদিয়ানীরা এ দেশে কাদিয়ানী ধর্মাবলম্বী পরিচয়ে থাকতে পারবে। যেভাবে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সহ অন্যান্য অমুসলিম ধর্মালম্বীরা বসবাস করে। মুসলিম পরিচয়ে কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। সাধারণ মুসলমানদের ঈমান-আকিদা বাঁচাতে তাদের সকল প্রকাশনা, প্রচারণা ও অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
এ সময় বিশেষ মেহমান হিসেবে আরো আলোচনা করেন, মাওলানা আব্দুল বাসেত খাঁন, মুফতী হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতী মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতী দেলাওয়ার হুসাইন মাইজী, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন প্রমুখ।
তারা বলেন, কাদিয়ানীদের প্রধান গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ইংরেজদের এজেন্ট ছিল। মুসলিম উম্মাহকে বিভক্তির জন্য তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পৃথিবীর ৪০টি রাষ্ট্র কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে। ইরাকে অনুষ্ঠিত ও আইসির সম্মেলনেও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ও কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করতে হবে। না হলে আমাদের এই আন্দোলন আরও বেগবান হবে, ইনশাআল্লাহ।
সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন কাসেমী তার বক্তব্যে বলেন, নবীজী (সা.) থেকে যে সমস্ত বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত, যুগ-পরম্পরায় প্রতিষ্ঠিত এবং একজন সাধারণ মুসলমানের নিকটও যে বিষয়গুলি অজানা নয়, তেমন একটি বিষয় হলো খতমে নবুওতের আকীদা। অর্থাৎ আমাদের নবীজীর পর আর কোনো নবী নেই। নতুন করে কোনো নবী আর আসবে না। নবুওতের ধারা নবীজীর উপর এসে চিরতরে সমাপ্ত হয়ে গেছে -এই আকীদা। কাদিয়ানী সম্প্রদায় তা বিশ্বাস করে না। তাই তারা কাফের। তাদের জন্মলগ্ন থেকেই তারা ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীর ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করে আসছে। অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুর রহীম, মাওলানা আবু বকর, মুফতী জামালুদ্দীন, মুফতী ওসমান গণী সহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।