কোরআন তেলাওয়াতকারী সম্পর্কে যা বলেছেন বিশ্বনবী

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে মুমিন কোরআন পড়ে তার উদাহরণ হলো কমলা-লেবুর মতো, যার ঘ্রাণ স্নিগ্ধ এবং স্বাদ উত্তম। আর যে মুমিন কোরআন পড়ে না তার উদাহরণ হলো খেজুরের মতো, যা সুস্বাদু কিন্তু ঘ্রাণহীন। আর যে গুনাহগার ব্যক্তি কোরআন পড়ে তার উদাহরণ লতাগুল্মের মতো, যার ঘ্রাণ স্নিগ্ধ কিন্তু স্বাদ তিক্ত।

পক্ষান্তরে, যে গুনাহগার ব্যক্তি কোরআন পড়ে না তার উদাহরণ হানযালা বৃক্ষের ফলের মতো, যার স্বাদ তিক্ত কিন্তু গন্ধ নেই। আর সৎলোকের সংস্পর্শ হলো কস্তুরী বিক্রেতার মতো, তুমি কস্তুরী না পেলেও তার সুবাস পাবে এবং অসৎ লোকের সংস্পর্শ হলো কামারের মতো। যদিও কালি ও ময়লা না লাগে, তবে ধোয়া হতে রক্ষা পাবে না। -(আবু দাউদ, ৪৮২৯, বুখারি, হাদিস: ৭৫৬০)

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ: ২১৫)

রাসুলুল্লাহ (স.) আরেক হাদিসে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (সহিহ বুখারি: ৫০২৮)

যারা কোরআন শিখবে এবং সে মতে আমল করবে, কোরআন হিফজ করবে, কেয়ামতের দিন তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবী (স.) বলেছেন, কোরআন কেয়ামত দিবসে হাজির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভু, একে (কোরআনের বাহককে) অলংকার পরিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তাকে আরো পোশাক দিন।

সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি একেক আয়াত পাঠ করতে থাকো এবং ওপরের দিকে উঠতে থাকো। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সওয়াব (মর্যাদা) বাড়ানো হবে। (তিরমিজি: ২৯১৫)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

‘মুজিব বর্ষে’ ‌১৭০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন

আনসারুল হক

মক্কা নগরীর মর্যাদা নিয়ে যা বলেছেন মহানবী সা.

নূর নিউজ

দাজ্জালের ফেতনা থেতে বাঁচতে জুমার দিন যে আমল করবেন

নূর নিউজ