সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের নির্দেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল করে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত এক রাজকীয় ফরমানে (ডিক্রি) এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবের শাসকই ছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। দেশটির সরকারের প্রধান হিসেবে তার এই নিয়োগটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তার নামের আদ্যক্ষর এমবিএস দিয়ে পরিচিত। এতদিন তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তার ছোট ভাই খালিদ বিন সালমান, যিনি এতদিন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
রাজকীয় ফরমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের নিজেদের পদে বহাল রাখা হয়েছে।
এমবিএসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সাধারণত ধীর, কিন্তু স্থিরভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলেন।
মঙ্গলবারের রাজকীয় ফরমানে এই নিয়োগের পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, বাদশাহ রাষ্ট্রের প্রধান থাকবেন এবং তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও সভাপতিত্ব করতে থাকবেন। গত মে মাসে রাজাকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল এসপিএ।
এতদিন অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, তেল এবং স্বরাষ্ট্রসহ দেশটির বড় দায়িত্বে ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ।