গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন কসাই। এবং তিনি কিছুতেই ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। বাইডেনের এই মন্তব্যের পর প্রচুর জলঘোলা হয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি মার্কিন নীতিবদল হলো? নাহলে অন্য দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা না থাকা নিয়ে কী করে মন্তব্য করতে পারেন বাইডেন?
সোমবার বাইডেন নিজেই তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ওটা ছিল তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমেরিকার নীতি আগের মতোই থাকছে। কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
তবে বাইডেন জানিয়েছেন, তার মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
হোয়াইট হাউজে সিএনএনের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, ‘খারাপ মানুষরা খারাপ কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পুতিনকে ক্ষমতাচ্যূত করার জন্য আমেরিকার নীতির মৌলিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে’।
পুতিনকে নিয়ে বাইডেনের আগের মন্ত্যব্যের পরেই মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে পুতিনের আচরণের নিন্দা করেছেন।
বাইডেনও সোমবার বলেছেন, ‘আমি একটা সহজ কথা বলতে চেয়েছিলাম, পুতিন যে ব্যবহার করছেন, তা মানা যায় না। তার মোকাবিলা করার জন্য ন্যাটোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে এবং ইউক্রেনকে সাহায্য করতে হবে’।
বাইডেনের দাবি, ন্যাটো এর আগে কখনো এতটা শক্তিশালী ছিল না।
বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ওয়ারশতে গিয়ে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের দেখেছেন, কথা বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, তার মন্তব্যের ফলে পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না।