নূর নিউজ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে খুলনা জেলায় আবারও এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকেল ৫টার পর দোকান, শপিংমল, রেঁস্তোরা ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হয়ে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক এবং অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ঔষধের দোকান এই বিধিনিষেধ আওতামুক্ত থাকবে। আগামীকাল রোববার থেকে কার্যকর হবে এই বিধিনিষেধ।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আজ শুক্রবার তার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়- জেলায় করোনা রোগীর চিকিৎসার শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে। সে ক্ষেত্রে সদর হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন পাঁচশ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
সভায় আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাতদিনে দুইশত ২৩টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে তিন লাখ ৬২ হাজার পাঁচশত পয়তাল্লিশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের মোবাইলকোর্ট পরিচলনা অব্যাহত থাকবে।
সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব আলম সোহাগ, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।