অবশেষে মালয়েশিয়া কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ৫৩ জন কর্মীর প্রথম দলটি সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
বিএমইটি জানায়, ৫৩ জন কর্মী নিয়ে একে-৭০ ফ্লাইটযোগে সোমবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
এসব কর্মীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান ও বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদসহ এজেন্সির প্রতিনিধিরা।
বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম জানান, সোমবার রাতে প্রথম দফায় ৫৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজারের মতো কর্মী প্রসেসের মধ্যে আছে। এ মাসে আরও কয়েকটি ফ্লাইট যাবে। আগামী মাস থেকে পুরোদমে যাওয়া শুরু হবে। প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার যাবে।
বিএমইটি জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কর্মী প্রেরণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালকে (আরএল ১০২২) মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগানুমতি প্রদান করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়।
অনুমোদন পাওয়া রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ০৫৪৯) মালয়েশিয়ার জিমাট জয়া এসডিএন বিএইডি (Jimat Jaya SDN BHD) কোম্পানিতে নিয়োগানুমতি প্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য রোববার আবেদন করলে ৫৩ কর্মীকে বিএমইটি কর্তৃক বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।
সংস্থাটি জানায়, ২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখ কর্মী মালয়েশিয়া গমন করেন। ২০১৯ সাল থেকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এবং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।