খুশির সংবাদ মানুষের মনকে পুলকিত করে। সামনে আরও ভালো কিছু করার উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেয়। সুখ এবং খুশির মুহূর্তগুলো মানুষ ঘটা করে উদযাপন করতে পছন্দ করে। অনেকেই এ সময় অন্যকে মিষ্টি মুখ করিয়ে থাকেন।
যেকোনো খুশির খবরে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করায় ইসলামী কোনও বিধি নিষেধ নেই এবং একে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দোষণীয়ও মনে করা হয় না। (আল-ফাতাওয়াস সুলাসিয়া ১/৫৬)
মুসলিমদের জীবনে সব কাজের আদর্শ মনে করা হয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। এরপরে ধাপেই আদর্শ হিসেবে রয়েছেন সাহাবায়ে কেরাম।
খুশির মুহূর্ত উদযাপনের সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য সদকা করার একাধিক হাদিস পাওয়া যায়। কাব বিন মালেক (রা.) তার তাওবা কবুলের সংবাদ পেয়ে সিজদা করেছিলেন ও তার সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পেশ করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৪৪১৮)
খুশির সংবাদ পেয়ে বৈধ যেকোনও উপায়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর বিষয়টি ইসলামের দৃষ্টিতে ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। মহানবী (সা.) একবার মুআজ (রা.)-কে বলেছেন, ‘হে মুআজ, আমি তোমাকে বলছি, কখনো নামাজের পরে এ দোয়া পড়তে ভুল করো না—‘হে আল্লাহ, আপনার স্মরণ, আপনার কৃতজ্ঞতা আদায় ও সুন্দর করে আপনার ইবাদত করতে আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ -(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২১১৯; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৪)