নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: গণকমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের ১১৬ আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নিউইয়র্কের প্রবাসী ওলামা মাশায়েখের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ মে (মঙ্গলবার) নিউইয়র্কের ওলামা-মাশায়েখের একটি প্রতিনিধি দল কনস্যুলেট জেনারেলের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
স্মারকলিপিত বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
নিউইয়র্কের সর্বস্তরের বাংলাদেশী প্রবাসী ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ মনে করেন, এই শ্বেতপত্র প্রকাশের
নেপথ্যে উদ্যোক্তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের মতে গণকমিশনেরউদ্দেশ্য হলো:
১. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। ২. মাদরাসা শিক্ষার ঐতিহ্য ধ্বংস করা। ৩.ওয়াজ, নসিহত ও তাফসির মাহফিলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ৪. সমাজে বরণ্যে ওলামা-মাশায়েখকে হেয় প্রতিপন্ন করা। ৫. আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। ৬. বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করা এবং দেশের ভাবমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ৭. মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের স্লোগান তুলে বৈশ্বিক আগ্রাসী শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করা ৮.ওলামা-মাশায়েখদের সরকারের মুখোমুখি করে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
স্মারকলিপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, আলেম-ওলামারাও মানুষ, তাঁরা ভুলের উর্ধে নয়। কারো তেমন কোন ভুল যা ইসলাম, আন্তধর্মীয় কিংবা দেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ নজরে আসলে বা ‘গণকমিশনের’ এই তালিকায় সত্যিকার কোনো অপরাধী থাকলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনুন। তবে যারা অপরাধী নয়, তাদের সম্মানহানির জন্য অবিলম্বে ইসলাম বিদ্বেষী গণকমিশন চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব তুরিন আফরোজ গংসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভ্রান্ত ও অরাজকতা সৃষ্টিকারী গণকমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা মঞ্জুরুল করিম, মাওলানা কুতুব উদ্দিন মাহমুদ, মুফতি মোঃ ইসমাইলসহ নিউইয়র্কের সর্বস্তরের ইমাম ও ওলামাগণ।