হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা গরিব রোগীদের বিনামূল্যে ভালব প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে নিরবচ্ছিন্ন ভালব সরবরাহের দাবি জানিয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এতে রোগীদের অন্তত এক থেকে দেড় লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাসপাতালটি কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন এমন দাবি জানান।
ডা. কামরুল হাসান বলেন, হৃদরোগ হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসেন, যাদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। তাদের অনেকেরই ভালব প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারি না। যে কারণে অনেক রোগী ভিটে-মাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করান।
‘মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, কার্ডিয়াক সার্জারিতে নিরবচ্ছিন্ন ভালব ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা যায় কি না, একটু দেখবেন। আমরা যদি একজন রোগীকে বিনামূল্যে একটি ভালব বরাদ্দ দিতে পারি, তাহলে তার এক থেকে দেড় লাখ টাকা বেঁচে যাবে। অথচ আমরা তাদের এ সুবিধা দিতে পারছি না।’
স্বাচিপ মহাসচিব বলেন, আমাদের হাসপাতালে সরকারিভাবে ভালব সরবরাহ হয়, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে। যা অল্প কিছুদিনেই শেষ হয়ে যায়। যদি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভালব পাই, তাহলে রোগীদের আমরা এগুলো বিনামূল্যে দিতে পারি। এতে অনেককে জায়গা-জমি বিক্রি করে চিকিৎসা নেওয় লাগবে না।
‘আপনারা জানেন, এ এলাকাটি একটি হাসপাতাল জোন। আশেপাশে অনেকগুলো হাসপাতাল। এখানে যেমন হৃদরোগ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল আছে; কোনো রোগী যদি জরুরি ইনজুরি হয়, তাহলে রোগীকে যেন দ্রুততম সময়ে যেকোনো একটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, এজন্য মূল সড়কের বাইরে একটা এন্টার কানেকশন রোড করে দেওয়া যায় কি না, একটু দেখার অনুরোধ।’
কোয়ার্টার উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে আবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদেরও আবাসন সংকট ছিল, কিন্তু আজ এ কোয়ার্টার উদ্বোধনের ফলে সংকট নিরসন হবে। তবে, যারা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক থাকেন, ইমার্জেন্সি সার্ভিস যারা দেন, তারাই এখানে থাকতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।