গায়ে আগুন দেওয়া সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনে সড়ক

নজিরবিহীন এক প্রতিবাদের অসাধারণ এক স্বীকৃতি। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের প্রতিবাদে শরীরে আগুন দেয়া সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের সড়ক সেটি। গত রোববার সড়কটির নতুন নামফলকের উন্মোচন হয়। ফলকটি উন্মোচন করেন জেরিকোর মেয়র আবদুল করিম সিদর।

ইসরায়েলি গণহত্যায় পাশ্চাত্যের সমর্থনের প্রতিবাদে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন অ্যারন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

সামরিক বাহিনীর পোশাক পরেই অ্যারন নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনার লাইভ করছিলেন। তখন তিনি বলছিলেন, গণহত্যার সাথে জড়িত থাকতে চান না! চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই।’

আত্মহত্যা নিন্দনীয়। কিন্তু যখন আত্মহত্যা ব্যক্তিগত থাকে না, তখন বোধ হয় তার প্রতি নিন্দার অভিমুখ বদলে যায়। যেমন গেছে অ্যারন বুশনেলের ঘটনায়। গাজার উপর যে অন্যায় হচ্ছে, তার প্রতিবাদে অ্যারন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য। কিন্তু এই যুদ্ধের নৃশংসতা তার যোদ্ধা-মনকেও আলোড়িত করেছে।

গাজায় যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য অ্যারন। মারা যান ঘটনার রাতেই। ওয়াশিংটন ডিসির ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে কয়েক শ’ মানুষ সমবেত হয়ে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

সূত্র : জি নিউজ

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পবিত্র নগরী মদিনা মুনাওয়ারাকে করোনা মুক্ত ঘোষণা

আলাউদ্দিন

পাকিস্তানে ৬ সেনা কর্মকর্তাসহ হেলিকপ্টার নিখোঁজ

নূর নিউজ

আফ্রিকার মুসলিম দেশ মালিতে গোয়েন্দা মিশনে থাকা ফ্রান্সের দুই সেনা নিহত

আলাউদ্দিন