ঘুম থেকে ওঠার পরে ক্লান্ত লাগে? জেনে নিন ৫ কারণ

ক্লান্ত হয়ে জেগে ওঠা এমন একটি বিষয় যা আমরা প্রায় সবাই অনুভব করি। অনেক সময় ঘুম ভাঙলেও পুরোপুরি জেগে ওঠা কষ্টকর মনে হয়। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও স্বস্তি মেলে না যেন। আমাদের জীবনযাপন এবং খাদ্যতালিকাগত রুটিন জ্ঞাতসারে বা অজান্তে আমাদের ঘুমের চক্রকে প্রভাবিত করে। ঘুম থেকে ওঠার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আপনার পরিস্থিতির মূল কারণ বুঝতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ঘুমের অভাব

আমাদের বেশিরভাগেরই ফোনে স্ক্রোল করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস রয়েছে। এটি আমাদের ঘুমকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞের মতে, ফোনের স্ক্রিন নীল আলো নির্গত করে যা ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে প্রভাবিত করে এবং ঘুমকে দূরে সরিয়ে দেয়। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করে এবং স্বাভাবিক ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে, যার ফলে আমরা সকালে অস্বস্তি এবং ক্লান্ত বোধ করি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা ঘুম থেকে উঠেই ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে সতেজ ও সুস্থ থাকা হবে।

২. ডিহাইড্রেশন

বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনার প্রতিদিনের পানি খাওয়ার পরিমাণ আপনার ঘুমের চক্রকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ডায়েটিশিয়ানের মতে, যদি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তবে এটি আপনার শরীরের অ্যামাইনো অ্যাসিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। পর্যাপ্ত অ্যামাইনো অ্যাসিড না থাকলে ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে মেলাটোনিনে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এর মানে হলো যে মেলাটোনিন আপনার শরীরে নির্গত হওয়া উচিত তা উৎ’পাদিত হয় না, যার ফলে আপনি সকালে ক্লান্ত এবং তন্দ্রা অনুভব করেন।

৩. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

আপনার যদি কোনো ধরনের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে, বিশেষ করে থাইরয়েডে, তবে তা আপনার সম্পূর্ণ বিপাককে প্রভাবিত করবে। বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই ভারসাম্যহীনতা শুধুমাত্র ওজনই নয় ঘুমকেও প্রভাবিত করে। অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম নাও হতে পারে। আবার ঘুম পর্যাপ্ত হলেও ওঠার পরে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। যদি থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে মনে করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪. ভিটামিনের ঘাটতি

ভিটামিনের অভাব, বিশেষ করে আয়রনের অভাব হলে তা আপনাকে সব সময় ক্লান্ত বোধ করতে পারে। সেইসঙ্গে এটি মেজাজও খিটমিটে করে দিতে পারে। এ কারণে শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে সারা দিন সতেজ বোধ করা সহজ হবে। যদি মনে করেন যে আপনার আয়রনের মাত্রা অপর্যাপ্ত, তাহলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সুষম খাদ্য বা আয়রন সম্পূরক গ্রহণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৫. দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ভালো ঘুমের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সকালে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। স্ট্রেস কর্টিসলের উৎপাদন বাড়ায়, এটি একটি হরমোন যা ঘুমের ধরণকে ব্যাহত করে এবং রাতে ঘুমানো কঠিন করে তোলে। যদি মানসিক চাপ বোধ করেন তবে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো চাপ-হ্রাসকারী ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে ঘুমের মান উন্নত করতে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নিয়মিত স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেবে এই পাতা!

নূর নিউজ

ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে যেসব খাবার খাবেন

নূর নিউজ

ওমিক্রণ: এই মূহুর্তে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই, স্বাস্থ্য মন্ত্রী

নূর নিউজ