ইসলামের সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই। এ জন্য তৃণমূল থেকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের কল্যাণকামী দিকগুলো তুলে ধরে জাতীয় জীবনে ইসলামের দিকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। কল্যাণকামীই ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট। ইসলাম কী জিনিস মানুষ না বুঝার কারণে মানুষ ইসলামের মত সৌন্দর্য, কল্যাণকামীতা, শান্তি ও মমত্ববোধ থেকে দূরে সরে রয়েছে। আমাদের জনপ্রতিনিধি যেখানে আছে মানুষ একটু হলেও বুঝতে পারছে ইসলামের আসল সৌন্দর্য। এখন মানুষ ইসলামের দিকে দলে দলে ছুটে আসছে। কিন্তু ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে হলে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে আলোচনাকালে মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারি মহাসচিব কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সরকার ইসলামী শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে। ২০২৩ সালের এসএসসি পাবলিক পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষার পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তকে কঠোর ভাবে সমালোচনা করে বলেন, দেশে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে আঘাত করছে সরকার। দেশে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চলতে পারে না। চলমান ২০২৩-এর পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষার পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি। শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে নাস্তিক্যবাদীদের দোসর শিক্ষামন্ত্রীসহ এদেশীয় দালালদের আখের রক্ষা হবে না।