প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি অর্থবছরে বিদেশে ৯ লক্ষাধিক কর্মীর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজ দপ্তরে জার্নালিস্ট’স ফোরাম অন মাইগ্রেশনের (জেএফএম) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ কর্মী চাকরি লাভ করেছে।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার সর্ম্পকে ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমি সিন্ডিকেটের পক্ষেও নই এবং বিপক্ষেও নই। আমি চাই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হোক। আমার দেশের গরিব মানুষগুলো বাঁচুক। অর্থাৎ কম টাকায় দেশটিতে কর্মী যাক।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, চীন ও জাপানেও প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বে অদক্ষ কর্মীর চাহিদা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। অভিবাসী কর্মীর স্বার্থেই আমরা দক্ষ কর্মী তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় সরকারি টিটিসিগুলোকে আধুনিকায়ন করার চিন্তাভাবনা চলছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশটিতে ওয়ার্ক ভিসা চালু নেই। তবে ভিজিট ভিসায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা ওয়ার্ক ভিসা লাভ করে চাকরি লাভের সুযোগ পাচ্ছে। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, দেশটিতে পুনরায় কর্মী যাওয়া শুরু হলে স্বচ্ছতার বিষয়ে নজর রাখা হবে। বিদেশ গমনেচ্ছু গরিব কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।