চাঁদের মাটিতেও গাছ হয়!

আজ থেকে অর্ধ শতক আগে অ্যাপোলোর মহাকাশচারীদের নিয়ে আসা চাঁদের মাটির নমুনায় বীজ রোপণ করে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

চাঁদের মাটিতেও গাছপালা জন্মাতে পারে। তবে গাছের পাতাগুলো প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর গাছপালার মতো সবুজ হলেও পরে বেগুনি হয়ে যেতে পারে। তারপরও চাঁদের মাটিতে গাছের পাতা গজাবে, শেকড় বের হবে, বেড়ে উঠবে, এমনকি খাওয়াও যেতে পারে।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক পরীক্ষায় এমন ফলাফলই পাওয়া গেছে। আজ থেকে অর্ধ শতক আগে অ্যাপোলোর মহাকাশ্চারীদের নিয়ে আসা চাঁদের মাটির নমুনায় বীজ রোপণ করেছিলেন গবেষকরা।

নাসার অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণাটি ন্যাচার কমিউনিকেশনস বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মানোর প্রথম ঘটনা এটি।

নাসার তিনটি অভিযানে আনা নমুনার ৪ গ্রাম করে মোট ১২ গ্রাম মাটি নেন তারা। ওই মাটিতে ‘আরাবিডোপসিস থালিয়ানা’ উদ্ভিদের বীজ রোপণ করেন।

চাঁদের মাটির ওই নমুনায় বীজ রোপণের পর কী হতে চলেছে কোনো ধারণাই ছিল না বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীতে ওই মাটি আনার পর সিলগালা করে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে সংরক্ষণের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে পৃথিবীর পানি বা বাতাসের সংস্পর্শেও আসেনি ওই মাটি।

শুরুতে মাটিতে পানি দেওয়ার পর ভিজছিল না একদমই। ধীরে ধীরে মাটি ভেজাতে সমর্থ হন তারা। এরপর বীজ অঙ্কুরিত হতে শুরু করে ও ধীরে ধীরে পাতা গজাতে শুরু করে।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

এ জাতীয় আরো সংবাদ

গুগলের ভুল ধরে ৬৫ কোটি টাকা পুরস্কার

নূর নিউজ

অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের প্রযুক্তি চালু জুলাইয়ে

আনসারুল হক

আসছে জুম এর মতো বাংলাদেশি অ্যাপ ‘বৈঠক’

আলাউদ্দিন