জালিয়াতির মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে চিরদিনের জন্য ব্যবসা থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। খবর রয়টার্স।
গত সপ্তাহে ম্যানহাটনের বিচারক আর্থার এঙ্গরন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জালিয়াতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এ মামলাটি নিউইয়র্কের আদালতে সোমবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পদের মূল্য অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছেন। এ জন্য আইনজীবীরা শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প ও তার দুই ছেলেকে চিরদিনের জন্য ব্যবসা থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
আদালতের আরজিতে মামলার প্রধান কৌঁসুলি ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার আরজি করেছেন। এ ছাড়া তিনি ট্রাম্প ও তার দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিককে চিরদিনের জন্য ব্যবসা নিষিদ্ধের আবেদন করেন। এ ছাড়াও পাঁচ বছরের জন্য তার রিয়েল স্টেট ব্যবসা ও ট্রাম্প অরগানাইজেশনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন তিনি। এ ছাড়া অভিযোগ গঠনের সময় তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য একজন রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন কৌঁসুলি।
ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ডোনাল্ড বেন্ডারের সাক্ষ্যগ্রহণের সোমবার এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়েছে। যদিও বেন্ডার তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
শুনানি শুরুর আগে ট্রাম্প মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি মামলার প্রধান কৌঁসুলি লেটিয়া জেমসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের দাবি, এই লোকের কাজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং লোকজনকে নিউইয়র্ক থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।
এর আগে অভিযোগের বিষয়ে ট্রাম্পসহ অন্য আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তারা কখনো জালিয়াতির আশ্রয় নেননি বলে আদালতে জানিয়েছেন। তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড আসলেই লাভজনক ছিল।
ট্রাম্পের আইনজীবী ক্রিস্টোফার কিসে বলেন, আজকের এ নিদারুণ রায়টি বাস্তবতা এবং ব্যবসা পরিচালনা আইন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ও তার পরিবার আপিল করে আদালতের কাছে প্রতিকার চাইবেন।
আগামী বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার নির্বাচনের ঘোষণার পর একের পর এক মামলার বিষয়টি সামনে আসছে। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হয়েছে।
সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছেন। পরে অবশ্য কয়েক মিনিটির মাথায় জামিনও পেয়েছেন। এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আদালতে তার হেডশটও নেওয়া হয়েছে।