জিলহজ মাসের যেসব দিনে রোজা রাখা সুন্নত

 

জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা সুন্নত। এসব দিনে রোজার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হাফসা (রা.) বর্ণনা করেছেন, চারটি আমল নবী করিম (সা.) কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসের তিন দিনের রোজা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪১৫)

আরও বর্ণিত হয়েছে, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোতে রোজা রাখো?’ জবাবে সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। এই দিনগুলো পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের বরকতময় সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন।’

এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ দাস আজাদ করার, ১০০ উট দান করার এবং জিহাদের সাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে ২ হাজার দাস মুক্ত করার, ২ হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত ২ হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)

আর ৯ জিলহজ তথা আরাফার দিন রোজা রাখলে আগে ও পরে এক বছর গুনাহ মাফ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফার দিন (৯ জিলহজ) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তিনি এর মাধ্যমে বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মাফ করবেন। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

খাবারের সময় মাথা ঢেকে রাখা কি সুন্নত?

নূর নিউজ

নামাজে বয়স্কদের কাতারে শিশুদের দাঁড়ানোর বিধান

নূর নিউজ

তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, সিনিয়র সহ সভাপতি জুনাইদ আল হাবিব

নূর নিউজ