ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সিসিটিভি বন্ধ করে গোপনে মেয়েদের নামাজের জায়গা থেকে সরঞ্জাম সরানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে নামাজ নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর এহেন আচরণ সচেতন দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। ঢাবিতে মুক্তচিন্তার নামে কালমার্ক, লেলিনসহ গৌরগোবিন্দের গুণকীর্তন ও আদর্শ চর্চা হতে পারলে, মুসলিম ছাত্রীরা নামাজ পরতে পারবে না কেন?
ইসলামের আদর্শ, রাসূল সা. এর আদর্শের চর্চা হতে বাধা কেন? এর জবাব দিতে হবে। ঢাকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। তখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকে বাধা দিয়েছে যেন তা না হতে পারে। আজ মুসলিম ছাত্রীদের জন্য নামাজ পরতে নিষেধ। এ যেন অশুভ ইঙ্গিত।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মাহে রমজানে ছাত্রীদের জন্য প্রস্তুত করা নামাজের জায়গার সরঞ্জাম গোপনে সরিয়ে ফেলার ঘটনা নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ।
দেশে যারা প্রতিনিয়ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত, তারাই এধরণের জঘণ্য কাজ করে থাকতে পারে।
তারা বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রধানের কর্তব্য হচ্ছে ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা। রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অগোচরে যারা সিসিটিভি বন্ধ করে এমন কাজ করার সাহস পেয়েছে তারা ভবিষ্যতে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হতে দ্বিধাবোধ করবে না।
অবিলম্বে মুসলিম ছাত্রীদের জন্য টিএসসিতে নামাজের জায়গার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।