কয়েক ডজন রিপাবলিকান পরিচালিত রাজ্যের মধ্যে টেক্সাস একটি যেখানে ‘হৃদস্পন্দন’ অ্যাবরশন বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে হৃদস্পন্দন বোঝা যায় বা গর্ভধারণের লক্ষণ স্পষ্ট এমন পর্যায় যা সাধারণত ছয় সপ্তাহ অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন নারী গর্ভবতী কিনা তা বোঝার আগেই গর্ভপাত অবৈধ করা হয়েছে।
টেক্সাসে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এটি নারীদের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর মারাত্মক আঘাত।তিনি বলেন এই অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের পক্ষে রয়েছে ৫০ প্রায় বছর ধরে।
বাইডেন বলেন বুধবারের ঐ রায়ের ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে গর্ভপাত বন্ধে আইন প্রয়োগকারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অসাংবিধানিক বিশৃঙ্খলার পথ খুলে দেয়া হলো।
কয়েক ডজন রিপাবলিকান পরিচালিত রাজ্যের মধ্যে টেক্সাস একটি যেখানে ‘হৃদস্পন্দন’ অ্যাবরশন বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে হৃদস্পন্দন বোঝা যায় বা গর্ভধারণের লক্ষণ স্পষ্ট এমন পর্যায় যা সাধারণত ছয় সপ্তাহ অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন নারী গর্ভবতী কিনা তা বোঝার আগেই গর্ভপাত অবৈধ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নারীদেরকে অ্যাবরশনের অধিকার দেয়া সংক্রান্ত ১৯৭৩ সালের Roe v. Wade এর সিদ্ধান্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বিধায় রায়ের মাধ্যমে অতীতে আদালত এ ধরণের আইন আটকে দেবার নজির রয়েছে।
টেক্সাসের অ্যাবরশন-বিরোধী আইনটি ভিন্ন রকম। এর মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদেরকে এমন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে তারা অ্যাবরশন পরিচালনাকারি বা সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এতে জিতলে অন্তত ১০ হাজার ডলার পাওয়া যেতে পারে।
বাইডেন বলেন, “নারী স্বাস্থ্যের সবচেয়ে গোপন ও ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ অপরিচিত লোকদের হস্তক্ষেপের ক্ষমতা দেয়া হলো। এই আইনটি এতোটাই চরম যে এতে ধর্ষণ কিংবা বেআইনী কারো সাথে গর্ভধারণ করলেও কোন ছাড় নেই”।
আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করে চিফ জাস্টিস জন রবার্টস অন্য তিনজন উদারপন্থী বিচারকের পক্ষ সমর্থন করেন। স্যামুয়েল অ্যালিটো, ক্লারেন্স থমাস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বারা নিয়োগ দেয়া আরও তিনজনসহ মোট পাঁচজন রক্ষণশীল বিচারক এই আইন পাশে সহায়তা করেন।
এই আইন সম্পর্কে বিচারপতি সোনিয়া সোতোমায়ার মতামত জানিয়ে এক বার্তায় বলেন, “এর ফলে টেক্সাসে অন্তত ৮৫% গর্ভপাত রোগীর সেবা বন্ধ হয়ে যাবে”।
৬-৩ ব্যবধানে রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সুপ্রিম কোর্ট অক্টোবরে মিসিসিপির অ্যাবরশন বন্ধ বিষয়ক আইন নিয়ে বিতর্ক শুনতে সম্মত হয়েছে।