ট্রাম্পের গাজা নীতি রুখতে মুসলিম দেশগুলোকে পাশে চায় হিজবুল্লাহ

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা করেছেন হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম। ট্রাম্পের এমন কঠোর নীতি রুখে দিতে আরব ও মুসলিম দেশগুলিকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় কাসেম বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ চালিয়েছে। এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন নতুন করে ট্রাম্পের অবস্থান একটি ‘রাজনৈতিক গণহত্যা’ উপস্থাপন করে।

হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘ট্রাম্প শুধু ফিলিস্তিন নয়, বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। ইসরাইল যা করে তা যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত।’

হিজবুল্লাহপ্রধান সব আরব ও মুসলিম দেশকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে বলেন, মার্কিন প্রকল্প এই অঞ্চলের সব জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

শেখ কাসেম আরো বলেন, লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ গাজার বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর চলতি মাসের শুরুতে গাজা ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা দেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে এবং এর দুই মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যাকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে স্থানান্তরিত করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রতিবেশী দেশ যেমন মিশর এবং জর্ডানে ফিলিস্তিনিদের যে কোনও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিরোধিতা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার কথা বলেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের গাজা বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাদের মতে, ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত এবং গাজাকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রাখার ট্রাম্পের প্রস্তাব ১৯৪৮ সালের বাস্তুচ্যুতির একটি নিয়মতান্ত্রিক নীতি অব্যাহত রাখে এবং জেনেভা কনভেনশন এবং রোম সংবিধির অধীনে একটি যুদ্ধাপরাধের সামিল।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলহাজ আক্কাস আলী ফকির ইন্তিকাল করেছেন!

নূর নিউজ

কানাডায় তারাবির সময় মুসল্লিদের ওপর গু*লিবর্ষণ, আহত ৫

নূর নিউজ

মুসলমানদের কাছে ফিলিস্তিন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

নূর নিউজ