মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি কফি শপের ভেতরে আবির নামের এক বাংলাদেশি ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)।
গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শেখ আবির হোসেন টেক্সাসের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছিলেন। স্নাতক গবেষণা সহকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান বলে দাবি করেন ঢাবি অধ্যাপক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সাতক্ষীরার বাসিন্দা, আবির এর আগে ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
তিনি জানায়, জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়ার পর থেকে আবির যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বিউমন্টে বসবাস করছিলেন।
ঢাবিতে পড়াশোনা শেষ করে আবির ব্র্যাক এনজিও এবং অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে কাজ করেন।
আবীর উচ্চশিক্ষা নিতে গত জানুয়ারিতে টেক্সাসে এসেছিলেন। আজ (৩১ ডিসেম্বর) দুই ডাকাতের কবলে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে, বোমন্টের ৩০৯০ গালফ এভিনিউতে গ্রোসারি শপ ক্রিস ফুড মার্টে দুই ব্যক্তি ডাকাতি করতে যায়। অর্থ ও সিগারেট নিয়ে পালানোর সময় একজন আবীরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে আবীর দোকানে সে সময় কাজ করছিলেন।
আবীরকে খুনের ঘটনায় একজনকে তিনঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন অন্য খুনীকে গ্রেফতারে সাহায্য চেয়ে তার ছবি প্রকাশ করেছে বোমন্ট পুলিশ।
শনিবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে শাহিন লেখেন, “হতাশা থেকে আবির উচ্চশিক্ষা ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। কিন্তু তার স্বপ্ন এখন ভেঙ্গে গেছে। একজন আততায়ী তার প্রাণ কেড়ে নেয়। আমরা সত্যিকারের একজন বিনয়ী, সদালাপী এবং মেধাবী ছাত্রকে হারালাম…” যোগ করেছেন ঢাবি শিক্ষক।
বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভ অনুসারে, ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত, এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪০,১৪৭ জন মারা গেছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১৮ জন মৃত্যু হয় বন্দুক সহিংসতায় আমেরিকায়।