ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ক্যাবল অপসারণ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর ধারাবাহিক অভিযান চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ২৬তম দিনে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ১টিতে এডিস মশার লার্ভা দেখতে পান। আদালত ১টি মামলা দায়ের ও নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
একই দিন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল ২ ও ৪ এর ৩১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর ও বংশাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন ও ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা এবং দুটি স্থাপনায় এডিস মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ খুঁজে পান। এ সময় তিনি ৩টি মামলা দায়ের ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি দুটি স্থাপনাকে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সতর্ক করেন।
অভিযানের ২৯তম দিনে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ডিএসসিসির হাতিরপুল কাঁচা বাজারের সামনে থেকে ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেট হয়ে ভূতের গলির সম্মুখভাগ পর্যন্ত এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ। এ সময় রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তির কাছ হতে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ নম্বর ধারার ৮ উপ-ধারায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। সেই সাথে ওই এলাকায় ১৫টি ইলেকট্রিক পোল হতে ক্যাবল অপসারণ করেন।
ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর চলমান অভিযান সম্পর্কে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, বর্তমানে আমরা অবৈধ ক্যাবল অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের অভিযান চলমান আছে এবং থাকবে।
এদিন ডিএসসিসির ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে সব মিলিয়ে মোট ৫টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।