নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালতের রায়েই তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের কোন দায় নেই। যে শ্রমিকদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন তারাই মামলা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা কেন?
মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশি। পরিকল্পনা, প্রস্তুত সব কিছুই সময় মতো সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন যাতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত। আমি এক কথায় বলবো, সন্তোষজনক। বরং বিএনপি ও তার দোসররাই একতরফাভাবে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। লিফলেট বিতরণ বিএনপির রহস্যময় কর্মসূচি। হঠাৎ তারা সশস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তবে তারা যতই বাধা দিক নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০১৩ শুরু করে ১৪, ১৮ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সারা বাংলাদেশজুড়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর, রাস্তা কেটে ফেলা, রাস্তায় আগুন দেওয়া, ৫’শর বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। এবারও তারা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ তারা জানে আন্দোলনে সফল হয়নি, নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
জাতীয় পার্টির কিছু প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টির ২/১ জন ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে নির্বাচন নাও করতে পারেন। কিন্তু দলগতভাবে নির্বাচন থেকে তারা সরে যাবে বলে মনে হয় না। যাদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ হয়েছে, তারাতো কেউ সরে যায়নি।